নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। আর এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ সময় জরুরি স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনে রোগীদের অন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। যে কোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রত্যেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারী) থেকে এই নির্দেশ কাযকর হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক নোটিশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে ও এর আগে পরে যেকোনো ধরনের জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যেকোনো রোগীকে সরকারি হাসপাতালে রেফার্ড করার ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। এমনকি ব্যবস্থাপত্রের সঙ্গে দায়িত্বরত চিকিৎসকের পূরণ করা রেফারেল ফরম যুক্ত করে রেফার করতে হবে।
এ ব্যাপারে ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছি। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালকে বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ ভোটের সময় প্রচুর মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। এমনও জায়গায় মানুষ যাচ্ছে, যেখানে আশপাশে সরকারি হাসপাতাল নেই। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে ও ভোটের সময় শারীরিক হেনস্থার শিকার হলে মানুষ যাতে চিকিৎসা পায়, সে জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোগীদের রেফার্ডের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। এখন যানবাহন কম। তাই রোগীদের রেফার্ড করলে যেন রেফার্ডটা ভালো মতো করে, সে জন্য একটা ফর্ম দেওয়া হয়েছে। তথ্যসহ রেফার করলে চিকিৎসার সুবিধা হবে।
ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, একই নির্দেশনা সব সরকারি হাসপাতালকেও দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় সরকারি হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে। মেডিকেল টিম করা হয়েছে। শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভোটের দিন, আগের ও পরের দিনের জন্য প্রত্যেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে মেডিকেল টিম করা হয়েছে। এই নির্দেশ ১০ জানুয়ারি পযন্ত বলবৎ থাকবে। প্রয়োজন হলে আমরা সময় আরও বাড়াবো। তবে আশা করছি সময় বাড়ানো লাগবে না। ভোটের পর সবাই যার যার কর্মস্থলে ফিরে এলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।