নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থসেবা নিশ্চিতে সরকারের স্বাস্থ্য সংস্কার প্রস্তাবনায় ‘বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট ফোরাম’ স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের কাছে ছয় দফা দাবি পেশ করেছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ ফার্মাসিস্টস্ ফোরামের সভাপতি মো. আজিবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান তানভীর দাবিগুলো স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রধান ডা. এ কে আজাদের কাছে হস্তান্তর করেন।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের কাছে প্রথম সুপারিশে বলা হয় উন্নত বিশ্বের হাসপাতালগুলোতে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগসহ সব বিভাগ এমনকি হাসপাতালের ওয়ার্ডেও চিকিৎসক এবং নার্সদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। সেখানে ১৯৬৫ সালে ফার্মেসি শিক্ষা চালু হলেও আজও বাংলাদেশের হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ হয়নি। ফলে রোগীরা ওষুধ পেলেও সঠিক ডোজের সমস্যায় পড়ছেন। ভুলমাত্রায় ওষুধ সেবনে অতীতে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটনাও ঘটছে। দেশের চিকিৎসা সেবাকে উন্নত বিশ্বের মতো হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয় সুপারিশে বলা হয় একজন ফার্মাসিস্টকে সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠারটির পদটি স্থায়ীভাবে ফার্মাসিস্টদের জন্য নির্ধারণ করতে হবে।
তৃতীয় সুপারিশে ঔষধপ্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপচিরালক পদটি একজন স্বনামধন্য গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টের জন্য নির্ধারণ করতে বলা হয়। চুতর্থত ওষুধ প্রশাসনের প্রতিটি জেলা অফিসে অন্তত দুইজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তর কথা বলা হয়। পঞ্চম সুপারিশে স্বাস্থ্য সংস্কার বিষয়ক কমিটিতেএকজন গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে। ষষ্ঠ সুপারিশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক সব কমিটিতে একজন গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবনায় আরও উল্লেখ করা হয় ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সর্বপ্রথম ফার্মেসি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে দেশে ৪৩টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ থেকে শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও কমিউনিটি ফার্মেসিগুলোতে কাজ করছে। বাংলাদেশের প্রায় ৩০ হাজার গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট আছে। বাংলাদেশ ফার্মাসিস্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ (বিপিএফ) একটি অরাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন। ফার্মেসি পেশার বিকাশ, উন্নয়ন, ফার্মেসি সংক্রান্ত শিক্ষার ক্রমাগত মানোন্নয়ন, জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ফার্মাসিস্টদের পেশাগত স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে সংগঠনটি।