নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করছে সশস্ত্র বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন বন্যাদুর্গত ব্যক্তিকে হেলিকপ্টার ও বোটযোগে উদ্ধার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে সাতটি অস্থায়ী মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ২২১৭ জনকে চিকিৎসা সহায়তা করা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বমোট ২১ হাজার ৫৫৯ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী, ১২ হাজার ৯৯৩ কেজি শুকনা রশদ, ৪ হাজার ৬২০ জনকে রান্না করা খাবার এবং ৫ হাজার ৬৪০ লিটার পানি বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, সোমবার বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে ৭টি অস্থায়ী মেডিকেল টিমের মাধ্যমে সর্বমোট ২ হাজার ২১৭ জনকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়।
এর আগের দিন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জল, স্থল ও আকাশ পথে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। মানবতার সেবায় পরিচালিত এই অভিযানকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের ২১টি হেলিকপ্টার সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৬ জন মুমূর্ষ রোগীকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে উদ্ধারপূর্বক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৩ জন শিশু, ৬ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী, ২ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী ও ৫ জন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্ত্বেও ২ হাজার ১৪৭ প্যাকেট ত্রাণ ফেনী সদর, ফাজিলপুর, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, পরশুরাম ও মধুগ্রাম এলাকায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত পাইকগাছার দুর্গত মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদশে নৌবাহিনী। একইসাথে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অব্যাহতভাবে বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীর এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়।