স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, চলতি মাসে দুই দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ১১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৪৪ জন। এর আগের মাস সেপ্টেম্বর মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ২৫৮ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছিল ৯১ জনের। আর আগস্টে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৫২১ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জনের। সেই হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই আগের মাসের তুলনায় ছিল প্রায় তিন গুণ।
তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে ভয়ঙ্কর বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দুই মাস আগেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার বিষয়টি আরও সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর তেমন কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ডেঙ্গু মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ঘাটতির অভাব রয়েছে। তাই প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়ছে। সবার সমন্বিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সামনের দিনগুলোতে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে।
অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৫৪ জন। আর এ বছরে ডেঙ্গুতে মোট ২৯ হাজার ৪৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৩ হাজার ৯৯ জন। আর এ বছর মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের। এর মধ্যে পুরুষের মৃত্যুর হার ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারিদের মৃত্যুর হার ৫১ দশমিক ১ শতাংশ।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, দেশে যে হারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, তা খুবই বিপদজনক। যদিও ডেঙ্গু বাড়বে- এমন পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। কিন্তু আর কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ছে। কারণ আমরা জানি, যদি এডিস মশা প্রজননের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়, তাহলে ডেঙ্গু বাড়বে। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা নির্মূল করার পরামর্শ দেন তিনি।