নিজস্ব প্রতিবেদক।।
উন্নত হাসপাতালে খৎনা করলে ব্যথা পাবে না এমন আশায় রাজধানীর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিলো পাঁচ বছর নয় মাসের শিশু আয়ানকে। টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়েছে শিশুকে। এই ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতি আছে বলে অভিযোগ আয়ানের পরিবারের। এ ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
সোমবার ( ৮ জানুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও মেডিকেল শাখার পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মাঈনুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও মেডিকেল শাখার পরিচালক জানান, মুগদা জেনারেল হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধানের নেতৃত্ব ৪ সদস্যবিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য ৩ সদস্যের মধ্যে একজন মুগদা হাসপাতালের এনেসথেসিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ, আরেকজন মুগদা হাসপাতালেরই এক সহকারী পরিচালক। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন সহকারী পরিচালকও রয়েছেন এই কমিটিতে।
জানা গেছে, সুন্নতে খৎনা করার জন্য রাজধানীর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিলো। সেখানে অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই তাকে ফুল অ্যানেস্থেশিয়া (জেনারেল) দিয়ে সুন্নতে সুন্নতে খৎনা করান চিকিৎসক। খৎনা শেষ হওয়ার পর আয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ এর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।পরে রোববার রাত সাড়ে ১১ টায় তাকে মৃত ঘোষণা করে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর শিশু আয়ানকে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জের বরুনা বাজার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
আয়ানের বাবা শামিম আহমেদ সময়ের আলোকে বলেন, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কারণে আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এই ঘটনায় পরিবার বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেন।