নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পাঁচ দিন দেশের রোগীদের ভুগিয়ে অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার আশ্বাসে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসককরা ভাতা বাড়ানোর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন। এর আগে চারদফা দাবিতে গত শনিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করায় সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মুমূর্ষুসহ সাধারণ রোগীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলছেন, আপাতত এক মাসের জন্য তারা কর্মসূচি স্থগিত রাখছেন। দাবি পূরণ না হলে ঈদের পর আবারও কর্মবিরতিতে যাবেন। এদিন দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিবদের এ কথা বলেন ডা. জাবির।
তিনি বলেন, “স্যার (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) আমাদের আশ্বস্ত করেছেন রেসিডেন্ট, নন রেসিডেন্ট এবং এফসিপিএস ট্রেইনি যারা আছেন, তাদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ করা হবে। এছাড়া আগামী এক মাসের মধ্যে আমাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট তথ্য জানানো হবে। ভাতা কত হবে এবং বাড়বে সেই আশ্বাস স্যার দিয়েছেন। এজন্য আমরা আগামী এক মাসের জন্য আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানোর দাবি ‘যৌক্তিক’ এবং তিনি এসব দাবির সঙ্গে ‘একমত’।
“বর্তমান বাজারে বেতন না বাড়ালে তাদের জন্য জীবনধারণ করা কষ্টকর হয়ে যাবে।আমি প্রথমদিন থেকেই তাদের দাবির সঙ্গে একমত। এটা কোনো অযৌক্তিক দাবি না। এই চিকিৎসকরাই হাসপাতালের মূল চালিকাশক্তি।
“বিষয়টি নিয়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি অত্যন্ত সদয়ভাবে বিষয়টি শুনেছেন। আমি আগেই সামারি তাকে দিয়ে এসেছি। তিনি বলেছেন দাবিগুলো বাস্তবায়নে তিনি কাজ করবেন, চিকিৎসকদের কাজে ফিরে যেতে বলেছেন।”
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনিদের ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন চিকিৎসকরা। গতবছর ওই ভাতার পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়। তবে তাতে তারা সন্তুষ্ট নন। এছাড়াও
১৫ হাজার টাকা ভাতা পান, তারা সেটি ৩০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।