নিজস্ব প্রতিবেদক।।
প্রথম দিনের অভিযানে রাজধানীতে মোট ৬টি ক্লিনিক-ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর । এছাড়াও লাইসেন্স পাওয়া গেলেও পরিবেশ, চিকিৎসা ব্যবস্থা, আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটারসহ নানা অনিয়ম পান অধিদফতরের কর্মকর্তারা। কেউ আবার ২০ বেডের অনুমোদন নিয়ে করেছে ২৮ বেডের হাসপাতাল। নেই সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশে দুটি টিম রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। তিনি জানান, আমরা মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান দেখেছি, এর মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। বাকিগুলোকে শোকজ করা হবে। বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দুটির লাইসেন্স আপডেট ছিল না, বাকিগুলোর লাইসেন্সই ছিল না।
বিল্লাল হোসেন জানান, মোহাম্মদপুর কলেজগেট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের রেডিয়াম ব্লাড ব্যাংক, রাজধানী ব্লাড ব্যাংক এবং টিজি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাজধানীর মিরপুরের ইসিবি চত্বর এলাকার আল হাকিম চক্ষু হাসপাতাল, কালশী এলাকার এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এএইচএস ডায়ালাইসিস ও ডায়াগনস্টিক বন্ধ করা হয়েছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতাল ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান মিরপুর কালশী, সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হক, ডা. মাসুদ রেজা খান, মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী মো. সালেহীন তৌহিদ রামপুরা এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
স্বাস্থ্য অধিদতরের ৬টি টিম পৃথকভাবে আজ বুধবার থেকে পূর্ণ অভিযানে নামবে বলেও জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নতুন নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। একইসঙ্গে এসব নির্দেশনা অবিশ্যকভাবে পালন করতে হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।