রংপুর প্রতিনিধি।।
রংপুরের আট উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রথম রাউন্ডেনপ্রায় পৌনে পাঁচ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এজন্য সুপারভাইজার, স্বেচ্ছাসেবী, টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারণ করাসহ প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর সিভিল সার্জন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রুহুল আমিন। তিনি জানান, সোমবার সারা দেশব্যাপী আয়োজিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এরই অংশ হিসেবে রংপুরের আট উপজেলায় ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে আট উপজেলায় ১ হাজার ৮৩২টি কেন্দ্রে তিন হাজার ৬৬৪ জন স্বেচ্ছাসেবক, এক হাজার ৩০৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৩০৩ জন সুপারভাইজার দায়িত্বে থাকবে।
তা ছাড়া বাদ পড়া শিশুদের জন্য অতিরিক্ত ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করবে। যদি কোনো শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে, তবে সেই শিশুকে আর খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।
এবছর জেলায় এক হাজার ৭১৫ প্রতিবন্ধী শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে উল্লেখ করে ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুদের অভাবজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। সর্বোপরি শিশু মৃত্যু রোধ করে। এ কর্মসূচিকে সার্থক করতে বাংলাদেশ সরকারকে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল সার্বিক সহযোগিতা করছে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রুহুল আমিন বলেন, ক্যাম্পেইনের দিন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মায়েদেরকে শিশুর জন্মের পর শাল দুধ খাওয়ানো, শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো, ছয় মাস পর মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পুষ্টিকর এবং সুষম বাড়তি খাবার খাওয়ানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীরা ছাড়াও জেলা পুষ্টি কার্যক্রম ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত টিকা কেন্দ্রসহ হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও রেলওয়ে স্টেশনের অস্থায়ী এবং ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে মহানগর এলাকা ব্যতীত জেলার ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সের শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।