নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো শিশু নুহা ও নাভাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পৃথক করা হয়েছে। আর অস্ত্রোপচার পরবর্তী অবস্থায় সুস্থতার যতগুলো নির্দেশক আছে তার সবগুলোতেই তারা ভাল আছেন এবং সামনের দিনগুলোতে আরও ভাল হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ তাদের পোস্ট অপারেটিভ অবস্থায় দেখতে গিয়ে এমন কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার কাঁঠালবাড়ীর পরিবহন শ্রমিক আলমগীর রানা ও তার স্ত্রী নাসরিনের গর্ভে মেরুদণ্ডে জোড়া লাগানো কন্যা সন্তান নুহা ও নাভার চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। অপারেশন পরবর্তী অবস্থায় এই দুই শিশুকে খুব সতর্কভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দেশ বাসীর দোয়ায় তারা এখন ভাল আছেন।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ীর পরিবহন শ্রমিক আলমগীর রানা ও তার স্ত্রী নাসরিনের গর্ভে মেরুদণ্ডে জোড়া লাগানো কন্যা সন্তান নুহা ও নাবা গত ২০২২ সালের ২১ মার্চ কুড়িগ্রামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে জন্ম নেয়। জন্মের অল্প কয়েকদিন পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজারী অনুষদের ডিন ও নিউরো স্পাইন সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের অধীনে নুহা ও নাভাকে ভর্তি করা হয়। শিশু দুইটির বয়স এখন ২৩ মাস।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরুদণ্ডে জোড়া লাগানো জমজ শিশু নুহা ও নাভার পনের ঘণ্টার সফল পৃথকীকরণ অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন ও নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্ব ১০০জন চিকিৎসকের সার্জিক্যাল টিম সকাল ওদিন ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা হয়। ভর্তির পর কয়েকটি ধাপে পর পর অস্ত্রোপচারের পর এ চূড়ান্ত পৃথকীকরণ অপারেশন করেন চিকিৎসকরা।