নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পাসের হার ৪৭.৮৩ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৩৬৯ জন। পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন। এছাড়া এ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা। তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৯২ দশমিক ৫ নম্বর। ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটু মিঞা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক বায়জিদ খুরশীদ রিয়াজ, পরিচালক কাজী আফজালুর রহমান (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বরসহ কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার সকালে দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি ভেনুতএমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা হয়। এবার ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিল।
তাদের মধ্যে পাস নম্বর ৪০ বা তার বেশি পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
উত্তীর্ণদের মধ্যে ৫ হাজার ৩৮০ জন দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে মেধা কোটার ৫০৭২টি আসনের মধ্যে ২ হাজার ১৯৪ জন ছাত্র এবং ২ হাজার ৮৭৮ জন ছাত্রী।
এর বাইরে ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসন পূরণ করা হবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম ও পছন্দের ভিত্তিতে।
সরকারি মেডিকেল কলেজে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আগামী ১৮ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে।
‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫৩৮০ জন পরীক্ষার্থীকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মেধা কোটায় ৫ হাজার ৭২ জন, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫৬৯ জন এবং পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসনের ৩৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন।