κনিজস্ব প্রতিবেদক।।
সব সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদে নিয়োগ এবং বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠা করার দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করেছেন ফিজিওথেরাপির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফটক বন্ধ করে দেন তারা। এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরে কেউ ঢুকতে পারেননি, বেরও হতে পারেননি।
সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের (সফিশিপ) ব্যানারে সরকারি-বেসরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন যোগ দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকার ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ৫ বছরের ফিজিওথেরাপি কোর্স চালু করলেও তাদের জন্য কোনো ধরনের ক্যারিয়ার প্ল্যান করা হয়নি। ২০০৯ সালে স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ঢাকার মহাখালীতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ওই উদ্যোগ আটকে যায়।
তাদের দাবি, সরকারি চাকরিতে বিএসসি উত্তীর্ণ ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য সরাসরি কোনো পদ নেই, তাই নিয়োগের কোনো সুযোগও নেই। এসব কারণেই তারা আন্দোলন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, তারা না বুঝেই আমাদের এখানে এসে আন্দোলন করছে। তাদের যে দাবি, সেটা পূরণের জন্য যেতে হবে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু তারা এখানে এসেছে। আমাদের এখানে যে দাবিটা ছিল খালি পদের জন্য। সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। ছোট ছোট পোলাপান, তারা হয়তো বোঝেও না কিছু।
ঢাকা ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী বজলুল হক বলেন, বিভিন্ন দাবি পূরণের জন্য প্রায় দুই মাস আগে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরে এসেছিলেন। তখন তাদের দাবির বিষয়টি দেখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরে আলাদা কমিটি করে দেওয়া হয়। কিন্তু কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। তখন দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এক মাস পর কমিটি করে। কমিটির সভাও হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা আর আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। ফলে আমরা বাধ্য হয়ে আজ অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করেছি।
তিনি বলেন, বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেনি, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতর অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার, বিষয়টি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে চাই।