নিজস্ব প্রতিবেদক।।
‘ভার্টিগো’ রোগ হলো মাথা ঘোরাজনিত কমন একটি রোগ। যা বিভিন্ন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকরা। তারা বলেন, ভার্টিগো হলে রোগীর মনে হয়, তার চারদিক ঘুরছে। অনেক সময় রোগী নিজেও ঘুরতে পারেন। রোগী পরে যেতে পারে। হাঁটতে সমস্যা হয়। সাধারণত শরীরে ভারসাম্যহীন অবস্থার সৃষ্টি, কানের অসুখ, ব্রেইনের সমস্যা, কান ও ব্রেইনের সংযোগ স্থলে সমস্যা, চোখের সমস্যা, ওষুধের পার্শ¦প্রতিক্রিয়া, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ভার্টিগো হয়ে থাকে। তাই সর্বাগ্রে যে কারণে ভার্টিগো তা চিহ্নিত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। অর্থাৎ আগে ভার্টিগোর চিকিৎসা নয়, যে কারণে ভার্টিগো হয়েছে তার চিকিৎসা দেওয়ার উপর বিশেষজ্ঞগণ গুরুত্বারোপ করেন।
সোমবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে চক্রাকারে মাথাঘোরা বা ভারসাম্য হারানো অনুভবজনিত সমস্যা ভার্টিগো নিয়ে “এপ্রোস টু ভার্টিগো ” শীর্ষক সেমিনারে চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। বিএমইউর সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটির উদ্যোগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেছার সভাপতিত্বে ও ডা. খালেদ মাহবুব মোর্শেদের (মামুন) সঞ্চালনায় সেন্ট্রাল সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেন্ট্রাল সেমিনারে নিউরোরজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস কে মাহবুব আলম স্নায়ুবিক সমস্যাসহ ওষুধের মাধ্যমে ভার্টিগোর চিকিৎসা এবং নাক কান ও গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানু লাল সাহা ভার্টিগোর কানের অভ্যন্তরীণ সমস্যাসহ সার্জিক্যাল চিকিৎসা বিষয়ে আলোকপাত করে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞগণ জানান, ভার্টিগো রোগ নির্ণয়ে রোগীর ইতিহাস নেওয়া ও ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে করা সম্ভব। ইনার ইয়ারজনিত সমস্যা, ভেস্টিবুলার সিস্টেম বা স্নায়ুবিক সমস্যা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ব্রেইনের সমস্যা, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণে ভার্টিগো হতে পারে। ভার্টিগো চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেন ভার্টিগো হয়েছে তা নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। ভার্টিগো চিকিৎসায় ব্যয়াম, রিহ্যাবিলিটেশন থেরাপি, ফিজিওথেরাপি, ক্ষেত্র বিশেষে কানের অপারেশন, ব্রেইনের স্ট্রোক হলে তার চিকিৎসা ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় এমন কিছু ব্যয়াম রয়েছে যা চিকিৎসকের কাছ থেকে শিখে নিয়ে চর্চা করলে রোগী দ্রুত আরোগ্যলাভ করতে পারে।