নিউজ ডেস্ক।।
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের টিকার প্রথম মেডিকেল ট্রায়াল শুরু করেছে চীন। গত ৮ এপ্রিল দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হেনানের রাজধানী শহার ঝেনঝৌ’র হেনান ইনফেকশন ডিজিজ হাসপাতালে এই ট্রায়াল উদ্বোধন করা হয়।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ কোম্পানি সিনোফার্মের অন্যতম শাখা সাংহাই ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের (সিআইবিপি) তৈরি এই টিকার নাম এখনও জানা যায়নি।
দেশটির সরকারি সংবাদামাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ট্রায়ালে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের সবার বয়স ১৮ বছরের অধিক। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে সিআইবিপিকে মেডিকেল ট্রায়াল পরিচালনার অনুমতি দেয় চীনের জাতীয় চিকিৎসা প্রশাসন।
এতদিন মাঙ্কিপক্সের সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ ছিল না। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের জন্য ব্যবহারযোগ্য টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর। তাই এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে জলবসন্তের টিকাই ব্যবহৃত হয়ে আসছিল এতদিন।
প্রসঙ্গত, একসময়ের বিরল ও স্বল্প পরিচিত রোগ মাঙ্কিপক্স প্রথম বিশ্ববাসীর মনযোগে আসে ২০২২ সালে। বিশেষজ্ঞদের মতে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আদ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার ও বাহক। পরে এক সময় মানবদেহেও সংক্রমিত হওয়া শুরু করে মাঙ্কিপক্স।
স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে—ক্ল্যাড-১ (মধ্য আফ্রিকান) এবং ক্ল্যাড-২ (পশ্চিম আফ্রিকান)। প্রতি ১০০ মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যু হয় চার জনের। রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে—জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলায় এবং পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।