নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকের চারতলায় চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন উপাচার্যের নেতৃত্বে বিএসএমএমইউ প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) তারা এ খোঁজ-খবর নেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে মোট ২৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম কেবিন ব্লকের প্রতিটি কক্ষে গিয়ে আহত রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। উপাচার্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত সকল রোগীদের আন্তরিকতার সাথে সর্বাধুনিক উন্নত চিকিৎসা প্রদানসহ সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। উপাচার্য মহোদয় এসময় বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর চলমান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আহত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আজকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রতিদিন কর্তব্যরত চিকিৎসক ফলোআপ নিশ্চিত করবেন। প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রাউন্ড দিবেন। পাঁচজনের চলমান চিকিৎসা পুনর্মূল্যায়ন করে চিকিৎসার নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একজনের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এদিকে আরেক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম জানিয়েছেন, দেশের সবচেয়ে বেশি গবেষণা হয় বিএসএমএমইউতে। তবে শুধু গবেষণার সংখ্যা বাড়ালেই হবে না, গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। গবেষণার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক ও অনুপ্রেরণামূলক।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন গবেষণার ক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে গবেষণার মাধ্যমে যাতে রোগীরা উপকৃত হন সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় উপাচার্য তার বক্তব্যে গবেষণার কারিগরি ও ফান্ডের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা প্রত্যাশা করেন।