নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দীর্ঘ নয় মাসের বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ড. অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবীসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের মাসিক ভাতা ২০১৬ সালে ১৫ হাজার করা হয়। ২০২৪ সালে এসেও তার কোন বৃদ্ধি হয়নি। পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একজন ইন্টার্ন কীভাবে ১৫ হাজার টাকায় সংসার চালাবে- সেটা এখন সবার প্রশ্ন। গত বছর ২০ হাজার উন্নীত করার আশ্বাস দেওয়া হলেও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমান বাজার মূল্যর সঙ্গে মিল রেখে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি এখন যুক্তিসঙ্গত।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) অধীনে পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা ৯ মাস ধরে ভাতাবঞ্চিত। বিগত ২ থেকে ৩ মাস ধরে নানা তালবাহানা এবং দিনতারিখ দেয়ার পরও এখন অবধি টাকা দিতে সমর্থ হননি বিসিপিএস কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে প্রাইভেট রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতাও বকেয়া আছে। বন্ধ ভাতা চালু ও ভাতা বাড়ানোর দাবিতে বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করছেন প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো- পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা দিতে হবে। ১২টি প্রাইভেট ইনস্টিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তা পুনর্বহাল করতে হবে। অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।