চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাভাবিক প্রসূতি সেবায় রোল মডেলে পরিণত হয়েছে । চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ১১ মাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৫৮৫টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। আগের বছর ২০২২ সালে নরমাল ডেলিভারি হয় ৪০২০টি।
বুধবার গণমাধ্যমকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আরেফিন আজিম।
তিনি জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত প্রসূতিদের সবসময়ই নরমাল ডেলিভারিতে উৎসাহিত করা হয়। পাশাপাশি নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে- যথাক্রমে জানুয়ারি মাসে ৩৪৯টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৬৬টি, মার্চে ৩৫৫টি. এপ্রিলে ৩২৪টি, মে মাসে ২৮২টি, জুনে ২৯৫টি, জুলাইয়ে ৩২৪টি, আগস্টে ৩৪৪টি, সেপ্টেম্বরে ৩৬৬টি, অক্টোবরে ৩২০টি ও নভেম্বরে ৩৬০টি।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর নির্দেশনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী কনসালটেন্ট, মেডিকেল অফিসার, এসএসএন, মিডওয়াইফদের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রসূতি মায়েদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা আরও বাড়াতে চান ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আরেফিন আজিম। ফটিকছড়ির সকল প্রসূতি মাকে ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারির আওতায় আনা এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি চালু করতে চান কর্মকর্তা।