পদোন্নতির তালিকাভুক্ত হয়েও ৫০০ চিকিৎসকের বাদ দেওয়ার অভিযোগ

by glmmostofa@gmail.com

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

৩৩তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী অধ্যাপক পদে ঘোষিত সুপারনিউমেরারি পদোন্নতির হালনাগাদ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পরও প্রায় ৫০০ চিকিৎসককে বাদ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে পুনরায় তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে পদোন্নতির ফিটলিস্টে থাকা ৩৩তম বিসিএসের (স্বাস্থ্য) বৈষম্যের শিকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃ্ন্দের ব্যানারে  আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তানজিন হুদা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত বছর ২৭ অক্টোবরের মধ্যে পদোন্নতিযোগ্য চিকিৎসকদের অনলাইনে অধিদপ্তরের হিউম্যান রিসোর্স ইনফরমেশন সিস্টেমে (এইচআরআইএস) তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে এইচআরআইএসের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডিসেম্বরে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিযোগ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ফিটলিস্ট প্রকাশ করা হয়। যোগ্য চিকিৎসকদের মোট সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে সাড়ে সাত হাজার সুপারনিউমেরারি পদ সৃজনের মাধ্যমে পদোন্নতির আশ্বাস দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, তিনটি ধাপে ফিটলিস্টে অন্তর্ভুক্ত ৩৩তম বিসিএস পর্যন্ত পদোন্নতিযোগ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নাম সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোও হয়। কিন্তু ফিটলিস্ট থেকে ৩৩তম বিসিএসের পদোন্নতি যোগ্য প্রায় ৫০০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অথচ যোগ্যদের সংখ্যা বিবেচনা করেই সুপারনিউমেরারির সুপারিশ করা হয়েছিল। এখন বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে ৩৩তম বিসিএসের কিছু চিকিৎসক।

অন্য ক্যাডারে সুপারনিউমেরারি পদোন্নতি ব্যাচভিত্তিক হয়ে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, চাকরির ১১ বছর প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা দেওয়ার পরও ৩৩তম বিসিএসের একাংশ পদোন্নতি না পাওয়ায় হতাশ ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

ডা. তানজিন হুদা আরও বলেন, ‘একদিকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, অন্যদিকে তথ্য হালনাগাদের আবেদনের সর্বশেষ সময় গত ২৭ অক্টোবর শেষ হলেও অনেকে অনিয়ম করে চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এমনকি মার্চ মাসেও তথ্য হালনাগাদ করে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ পেয়েছেন। অথচ আবেদনের সময়ে তারা যোগ্য ছিলেন না। এছাড়া দুই ধাপে সহযোগী অধ্যাপক পদে এক হাজার ৩৯৮ জনকে সুপারনিউমেরারি পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ৩৩তম বিসিএসের মাত্র ৫০০ জনকে পদোন্নতি দিলে শূন্যপদে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হয়।’

তিনি বলেন, দেশের ২৬টি বিসিএস ক্যাডারে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের দক্ষতা ও চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির সঙ্গে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। তবে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তার তুলনায় যদি শূন্যপদ কম থাকে, তাহলে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারনিউমেরারি পদ সৃজন করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য ক্যাডারে পদোন্নতির সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনেকেরই মেডিকেল অফিসার হিসেবে কেটে যায় চাকরি জীবন। দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ও সহকারী অধ্যাপকের ফিটলিস্টে যোগ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া সুপারনিউমেরারি পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করে বৈষম্যের শিকার না করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলে ৩৩তম বিসিএসে (স্বাস্থ্য) ডা. আহমেদ হোসাইন সিদ্দিকী, ডা. আল মামুন, ডা. মশিউর রহমান প্রমুখ।

 

You may also like

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

গ্রেটার ঢাকা পাবলিকেশন নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স ৪৪/১, রহিম স্কয়ার

নিউমার্কেট, ঢাকা ১২০৫

যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@pran24.com