নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সাথে সাথে স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে কর্মরত বিগত সরকারের সমর্থক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। আর নিরাপত্তহীনতায় কর্মস্থলে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ)।
শনিবার (১০ আগস্ট) সংগঠনটির সভাপতি রাশেদ রাব্বি ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এসময় তারা দেশের সকল মানুষের স্বাভাবিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সমাজের সকল পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত ও স্বাস্থ্য প্রশাসনে স্বাভাবিক গতি আনায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রত্যাশার কথা জানান।
বিএইচআরএফ নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চালাকালে দেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন। আহতের চিকিৎসা দিতে দেশের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ পেশাগত আচরণ করেছেন। এতে আহত আন্দোলনকারী ও জনসাধারণ সুচিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, কিন্তু সরকার পতনের সাথে সাথে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে কর্মরত বিগত সরকারের সমর্থক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। ফলে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে। যা কারো কাছেই কাম্য নয়।
এই অচলাবস্থা নিরসনে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম দল মতের উর্ধ্বে থেকে দেশের সকল চিকিৎসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। দেশের সকল মানুষের স্বাভাবিক চিকিৎসা নিশ্চিতে চিকিৎসক সমাজের সকল পক্ষের সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত ও স্বাস্থ্য প্রশাসনে স্বাভাবিক গতি আনায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রত্যাশা করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আরও মনে করে চিকিৎসা সেবার মতো মহান ও মানবিক পেশায় যারা জড়িত আছেন তাদের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক সম্পৃক্ত অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। নতুন ও প্রত্যাশিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের গভীর মনোনিবেশ ও ফলপ্রসু মতামত প্রত্যাশা করেন নেতৃবৃন্দ।