নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমেল’। আর এই ঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এছাড়াও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা, স্যালাইন, পর্যাপ্ত ওষুধ রাখার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সার্বক্ষণিক চালু রাখাসহ ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) বিকালে অনলাইনে জরুরি বৈঠক করে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা দেন অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
বৈঠকে মাঠ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা, বিকল্প বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত রাখা, মোবাইল যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের বাফার স্টক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক । পাশাপাশি অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উপকূলীয় হাসপাতালগুলোর যেকোনো চাহিদা তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় দশটি নির্দেশনা দেন অধিদফতরের মহাপরিচালক । নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা, জরুরী বিভাগে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ, খাবার স্যালাইনসহ জরুরি প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক ওষুধ ও উপকরণ উপকূলবর্তী জেলায় পর্যাপ্ত মজুত রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট এবং সাপে কামড় দেওয়া রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যান্টিভেনম রাখার রাখতে হবে।
একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় মাঠ কর্মীদের (স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্যান্য) মাধ্যমে উপদ্রুত অঞ্চলে নিয়মিত পরিদর্শন এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়া, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ছুটি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এই সময়ে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের যেকোনো প্রশিক্ষণ কয়েকদিন পিছিয়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে আয়োজন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, শনিবার রাতে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সকল পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাম্বুলেন্সসমূহ প্রয়োজনীয় জ্বালানি প্রস্তুত রাখতে হবে। যেসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স সচল আছে, সেসব ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স মেডিকেল টিম এবং প্রয়োজনীয় জ্বালানি প্রস্তুত রাখা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে (নিয়ন্ত্রণ কক্ষের জরুরি হটলাইন নম্বর ০১৭৫৯১১৪৪৮৮)। এছাড়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক কার্যক্রম নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অধিদফতর।