নিউজ ডেস্ক।।
এ বছরের শেষের দিকে মানব শরীরে ‘রেসপিরেক্স’ নামক ডিভাইসের মাধ্যমে একটি নতুন ওষুধের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মার্কিন ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কনোভিয়া। ডিভাইসটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি এক ধরনের নেবুলাইচজারের মতো, যার মাধ্যমে নিকোটিন তরলকে বাষ্পে পরিণত করা যায়।
মারিও ডানেক নামের এক মার্কিন নাগরিক বহু দিন ধরেই ধূমপান ত্যাগ করতে সহায়ক ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে তিনি ‘রেসপিরেক্স’ নামে ডিভাইসটি আবিষ্কার করেন। আর তার এই ইদ্ভাবন বাজারে আনার দায়িত্ব নিয়েছে কনোভিয়া।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান কুইগলি বলেন, ‘প্রায় ৩ কোটি ধূমপায়ী রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু তাদের ধূপমান থেকে দূরের রাখার ব্যাপারে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো যথেষ্ঠ কাজ করছে না। কিন্তু আমরা গত ছয় বছর ধরে এটি নিয়ে কাজ করছি।’ রেসপিরেক্সের পেছনে গত ছয় বছরে ৩০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিউ জার্সির চিকিৎসক ডেভিড লেভি বলেন, রেসপিরেক্সকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এরপর এটি ডিভাইসের জগতে প্রবেশ করতে পারবে। ফলে এটি একটি দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল পথ।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। কনোভিয়া আশা করছে, ২০২৬ সালের মধ্যে রেসপিরেক্স বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফোর্বস জানিয়েছে, এর আগে ২০০৬ সালে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার ২০০৬ সালে চ্যান্টিক্স নামে ধূমপানরোধী একটি পিল তৈরি করেছিল। ২০২০ সালে চ্যান্টিক্সের পেটেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন এই ওষুধের অনুমোদন দিলে গত দুই দশকের মধ্যে বাজারে ধূমপান বন্ধের জন্য এটি হবে সরকার অনুমোদিত প্রেসক্রিপশন।
রেসপিরেক্স ই–সিগারেটের মতো হলেও ধীরে ধীরে এটি একজন ধূমপায়ীকে সিগারেট থেকে দূরে রাখতে ভূমিকা রাখবে। এটি মূলত একটি ৃস্টেপ-ডাউন থেরাপি’-এর মাধ্যমে কাজ করবে। মেডিকেল গ্রেড ডোজ ব্যবহার করে প্রতিদিন একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাণ নিকোটিন সরবরাহ করবে যন্ত্রটি। এরপর ধারাবাহিকভাবে এটি ব্যবহারে ডোজ কমতে থাকবে।
ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টায় সহায়ক হিসেবে চকলেট, লজেঞ্জসহ নানা কিছু বাজারে রয়েছে। তবে সেসব পণ্যের সাফল্যের ১০ শতাংশের বেশি নয়। সে ক্ষেত্রে রেসপিরেক্সের সাফল্যের হার এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানা গেছে।