নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে সারাদেশে ১৭ হাজার রোগীর কিডনি ডায়ালাইলিস করা লাগে। তাদের মধ্যে তিন হাজার রোগীর ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রয়োজন হয়। কিন্তু এর মধ্যে আমরা পারি মাত্র ৩০০ রোগীর ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে। এজন্য বিদেশে রোগীরা ছুটছেন। দেশের অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। আইনি জটিলতার কারণে দেশে মানবিক কারণে অঙ্গদান করা যাচ্ছে না। মানবিক কারণে অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন সংশোধন করতে হবে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সি ব্লকের ইউরোলজি বিভাগ আয়োজিত রিসার্চ সেলের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে উপাচার্য এসব   কথা বলেন।

ডা. শারফুদ্দিন বলেন, বিএসএমএমইউর ইউরোলোজি বিভাগে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের ইতিহাস করেছে। এ ট্রান্সপ্ল্যান্ট চিকিৎসা আরও কার্যক্রম জোরদার ও সম্প্রসারিত করা হবে। এজন্য আমাদের দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসএমএমইউর উরোলেজি বিভাগের ট্রান্সপ্ল্যান্ট ডিভিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিডনি ছাড়াও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের কারণে লিভার, হার্ট, প্যানক্রিয়াস, কর্ণিয়া, স্কিন প্রতিস্থাপনসহ বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট চিকিৎসা দেশব্যাপী সস্প্রসারিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলোজি বিভাগ অনেক দূর এগিয়েছে। যাদের হাত ধরে বর্তমান এ ইউরোলোজি বিভাগে এগিয়েছে তাদের আমরা ভুলে যাইনি। যারা অবসরে গেছেন তাদেরও এ বিভাগে কাজের মাধ্যমে দেশের মানুষ সেবা করার সুযোগ রয়েছে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে তারা চাইলেই কাজ করতে পারে।

ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গবেষণা ও থিসিস কার্যক্রমে যাতে কেউ কোনো ধরণের অনৈতিক পথ অবলম্বন করতে না পারে তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। অনুষ্ঠানে ইউরোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ শামীম, অধ্যাপক মো. আব্দুল সালাম, অধ্যাপক সাজিদ হাসান, অধ্যাপক এ কে এম খুরশীদুল আলম, অধ্যাপক তৌহিদ মো. সাইফুল ইসলাম (দিপু), নেফ্রোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহম্মদ হাফিজুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।