দেশে চিকনগুনিয়ায় ৬৭ এবং জিকা ভাইরাসে ১১ রোগী শনাক্ত 

ডেঙ্গুতে শিশু ও বয়স্কদের মৃত্যুহার চট্টগ্রামে বেশি

by glmmostofa@gmail.com

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ডেঙ্গু শনাক্তকরণের সময় চলতি বছরে চিকনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে অধিদপ্তরে ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ এ তথ্য জানান।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন,এডিস মশার মাধ্যমেই ছড়ায় চিকনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস। ডেঙ্গুর পাশাপাশি দেশে চিকনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জিকা ও চিকনগুনিয়া নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই। জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশর ক্ষেত্রেই কোনো লক্ষণই দেখা দেয় না। এছাড়া এই রোগে মৃত্যু হার শূন্য। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

জাফর।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, জিকা ও চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের অধিকাংশ ‘ঢাকার বাসিন্দা’।

তিনি আর জানান,  ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত করতে নিয়ে এই দুইটি ভাইরাসের রোগী মিলেছে। জিকা ও চিকনগুনিয়ায় মৃত্যু হার কম। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

এ বছর বেসরকারি হাসপাতালেও চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতালগুলো। নভেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে ৩১৪ জন রোগী চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও বলছেন, তাদের চেম্বারে চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসছেন।

স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই সময়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও রোগটিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় তুলনামূলক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এ বছর ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৯২ হাজার ৩৫১ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। গত নভেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বলেন,  ডেঙ্গু রোগীদের জটিল পরিস্থিতি তৈরি না হলে সাধারণত তারা হাসপাতালে আসছেন  না।এতে দেখা যায়, খুব অল্প সময়ে রোগী শকে চলে যাচ্ছে। রোগীদের পেটে ও ফুসফুসে পানি আসছে। এমন একটা সময়ে তারা হাসপাতালে আসছেন, যখন আর তাদের জন্য কিছু করা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র দেরি করে হাসপাতালে আসার কারণেই মৃত্যুটা বেশি হচ্ছে। এ কারণে যাদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

ঢাকায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী বেশি। শিশু ও বয়স্কদের মৃত্যুহার বেশি চট্টগ্রামে।

তিনি বলেন, আমরা মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ডেথ রিভিউ শুরু করছি। আমাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি। রোগীরা একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন। তখন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয়ে উঠে না।

এ বিষয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, আমার তথ্য অনুযায়ী যারা মারা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই এক থেকে দুই দিনের মাঝে মারা যাচ্ছে। একেবারে ক্রিটিকাল অবস্থায় আসছে হাসপাতালে।রোগীরা প্রাথমিক অবস্থায় আসলে এই অসুবিধা হতো না বলেও জানান তিনি।

 

You may also like

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

গ্রেটার ঢাকা পাবলিকেশন নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স ৪৪/১, রহিম স্কয়ার

নিউমার্কেট, ঢাকা ১২০৫

যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@pran24.com