নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দিন দিন দেশে বেড়েই চলেছে ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার। একইসঙ্গে বাড়ছে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। আর দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা পর্যাপ্ত না হওয়ায় প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সেবা নিশ্চিতে সরকারের দেশেই ক্যান্সারের পরিপূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন। বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা এখনও দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কার্যকরভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা কাজ করছে না। ফলে বাধ্য হয়ে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। অনেক রোগী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। এতে করে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার দেশ থেকে চলে যাচ্ছে। এটি রোধে ও সেবা নিশ্চিতে সরকারের উচিৎ দেশেই ক্যান্সারের পরিপূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা তৈরি করা।
বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা বেশ কঠিন উল্লেক করে তিনি আরও বলেন, দেশে আর্লি ডায়াগনোসিসের তেমন সু-ব্যবস্থা নেই। ফকে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হলেও একজন ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে যদি আর্লি ডায়াগনোসিসের ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে তা সুফল বয়ে আনবে না। কাজটা খুব কঠিন নয়, চাইলেই সম্ভব। কারণ প্রতিটি হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় লজিস্টিক থাকে। এর জন্য উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সঞ্চালনায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারের নারী অধিকার বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. হালিদা হানুম আখতার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হাকিম মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় ১৫০ দিনের কর্মসূচির কৃতজ্ঞতা, মূল্যায়ন ও সুপারিশের কারনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মোট ১০ সাংবাদিককে কৃতজ্ঞতা স্মারক প্রদান করা হয় ফোরামের পক্ষ থেকে।