নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দেশজুড়ে হাসপাতাল, ক্লিনিক-ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত দুই দিনে এ অভিযানে নানা অনিয়মের কারণে ২২টি বন্ধ, ৮টিকে জরিমানা এবং আরও ৮টি সেবা প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়।
বুধবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহ) ডা. মোহাম্মদ মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সারাদেশের ৩৭টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভিযান চালানো হয়। আর বুধবার অভিযান চলে ১০টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহে ।
ডা. মোহাম্মদ মঈনুল আহসান বলেন, রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযানের ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার থেকে অভিযান শুরু হয়।
তিনি বলেন, বন্ধ করে দেওয়া স্বাস্থকেন্দ্রগুলোর কোনোটির বৈধ কাগজপত্র ছিল না, আবার কাগজপত্র থাকলেও বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া গেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে, কিছু হাসপাতালের পরিবেশ ভালো পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বুধবার ঢাকায় ১০টি হাসপাতাল পরিদর্শন করে তিনটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটির কার্যক্রম সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের কেয়ার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শ্যামলীর ঢাকা ট্রমা সেন্টার, স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং উত্তরায় হাইকেয়ার কার্ডিয়াক ও নিউরো হাসপাতাল বন্ধ করা হয়েছে ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নতুন নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। একইসঙ্গে এসব নির্দেশনা অবিশ্যকভাবে পালন করতে হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।