নিজস্ব প্রতিবেদক।।
গত কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ দাবদাহে পুড়ছে দেশ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রায় সকল ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে এরই মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সশরীরে ক্লাস বন্ধ রয়েছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়েও।
এমনই প্রেক্ষাপটে সাময়িকের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ইতিমধ্যে তাদের অনেক সহপাঠী জ্বর-ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে গেছেন। ফলে তাদের পক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তবে অন্যদের চেয়ে মেডিকেল শিক্ষায় ভিন্নতা রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর সঙ্গে সেবার বিষয় জড়িত থাকায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত এলে মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ হতে পারে।
রোববার (২১ এপ্রিল) এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, বয়সের একটি স্পর্শকাতরতা থাকায় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদের পুরোপুরি হয়নি। মেডিকেল কলেজের ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে আপাতত ওইভাবে কোনো চিন্তা-ভাবনা হয়নি। এখনো পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনাও আসেনি।
মেডিকেল কলেজের সঙ্গে সেবার বিষয় জড়িত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্যাথলজিক্যাল সার্ভিসের একটি বড় অংশ মেডিকেল কলেজ থেকে করা হয়। ছুটির কারণে সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হলে তো সেবা গ্রহিতারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বিশেষ করে এই তাপপ্রবাহের জন্যও তো রোগীদের সেবা প্রয়োজন হবে। এসব কারণে অন্যদের মতো চটজলদি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। সেবার বিষয় থাকায় চিন্তা-ভাবনা করেই ছুটি দিতে হয়। এ নিয়ে আমরা দ্রুতই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসবো। য় সিদ্ধান্তের আলোকে কোনো নির্দেশনা আসবে’—যোগ করেন তিনি।
জানতে চাইলে ঢাবি চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির চেয়ারম্যান ডা. শাহরিয়ার নবী বলেন, চিকিৎসকদের করোনার সময়ও ক্লাস-পরীক্ষা অব্যাহত ছিল। যেহেতু এ সময় রোগী প্রবাহ বন্ধ থাকে না। কত পেশার মানুষ ঈদে লম্বা ছুটি কাটিয়েছেন, চিকিৎসকরা কত দিন ছুটি পেয়েছেন?
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির আলোকে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। একইভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নিলে মেডিকেলগুলো ছুটি হতে পারে। আমরা শিক্ষার দিকটি দেখি, মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক দিকটি বাস্তবায়ন করে। ওখান থেকে কোনো নোটিস আসলে মেডিকেল কলেজ ছুটির বিষয়ে আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারি।