নিউজ ডেস্ক।।
অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর ১০ লাখেরও বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক তদারক প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ সতর্ক বার্তা জানানো হয়। পানি ও স্যানিটেশনের বিশুদ্ধ সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়ায় সৃষ্ট কলেরা, হাম, মেনিনজাইটিস, এমপক্স এবং প্লেগের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনগণ ব্যাপক আন্দোলনের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কঙ্গোর (ডিআরসি) বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ জরুরি কর্মকর্তা অ্যাডেলহেইড মার্শাং জেনেভায় জাতিসংঘের একটি ব্রিফিংয়ে বলেছেন, গত মাসগুলিতে দেশটি ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে, যার ফলে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি, রোগ-বালাই ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দেখা দিয়েছে।
মার্শাং আরও জানিয়েছেন, বিশ্বের মধ্যে দেশটির সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। সেখানে স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টির অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় দুই কোটি ৫৪ লাখ মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৭৪ লাখ।
কঙ্গোর কিছু অংশ মারাত্মক বন্যা ও ভূমিধসের ফলে রোগ ছড়িয়েছে বলেও অভিমত এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার। তার মতে, ২০২৪ সালে দেশটিতে কলেরায় ২০ হাজারেরও বেশি এবং হামে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। তবে রিপোর্টের বাইরে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
সশস্ত্র সংঘাত এবং বাস্তুচ্যুতিই এই অবস্থার জন্য দায়ী উল্লেখ করে খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশটির চার কোটি আট লাখ মানুষ খাদ্য সংকটের সম্মুখীন। এর মধ্যে এক কোটি ৫৭ লাখ মানুষ গুরুতর খাবারের অভাব এবং অপুষ্টি ও সংক্রামক রোগের উচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন।
এ বিষয়গুলো বিবেচনায়, ডিআরসিতে মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে দশ লাখেরও বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ পর্যন্ত সংঘাতপূর্ণ এলাকার চার লাখ ৬০ হাজার মানুষের কাছে জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। এই সেবা বিশ্বব্যাপী আরও ছড়িয়ে দিতে এবং শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান অ্যাডেলহেইড মার্শাং ।