নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আগামী তিনদিনের মধ্যে এক দফা দাবি আদায় না হলে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এক দফা দাবি হলো, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে অনতিবিলম্বে উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য নার্সদের মধ্য থেকে মহাপরিচালক, পরিচালক পদ ও কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদে পদায়নের অনুরোধ জানাচ্ছি। এই দাবি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন না করা হলে সারা দেশে নার্স ও মিডওয়াইফরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি দিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীর সেবা অক্ষুণ্ন রেখে নার্স ও মিডওয়াইফরা উল্লিখিত কর্মসূচি পালন করলেও অদ্যাবধি সরকারের পক্ষ থেকে এই যৌক্তিক এক দফা দাবি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একটি বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, নার্স-মিডওয়াইফদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে রেজিস্ট্রার পদে সাময়িকভাবে একজন অবসরপ্রাপ্ত নার্সিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের উত্থাপিত ন্যায়সংগত দাবিটি দেশের সব নার্স ও মিডওয়াইফের প্রাণের দাবি। এই দাবি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের নার্স মিডওয়াইফরা কোনো প্রকার ছাড় দেবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের নার্সের সংখ্যা কম। এক লাখ নার্স রয়েছে দেশে। এরমধ্যে সরকারিভাবে ৪৭ হাজার নার্স রয়েছে। মোট কথা ৮৩ জন রোগি বা মানুষের জন্য নার্স ছয়জন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, ড. মো. মফিজুল্লাহ, ফেরদৌস জাহান ও সাব্বির মাহামুদ তিহানসহ প্রায় শতাধিক নার্স।