নিউজ ডেস্ক।।
বিশ্বে বর্তমানে ডায়াবেটিক রোগী প্রায় ৫৪ কোটি। ২০৪৫ সালে এই সংখ্যা ৭৮ কোটিতে পৌঁছার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ পরিসংখ্যানের তথ্য জানাচ্ছে, ২০২১ সালে ৫৩ দশমিক ৭ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন পৃথিবীতে। আর বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগী এক কোটি ৩১ লাখ।
তবে বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির তথ্য মতে, এই সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ। এদের মধ্যে ৯২ শতাংশ রোগটি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। পুরো বিশ্বে এ রোগে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আগামী চার বছরে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে হিসাবে দেশের চারটি অসংক্রামক রোগের অন্যতম এই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে দেড় কোটি ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু হয় এবং দুজন নতুন ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত হন!
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অথচ কোনো ধরনের উপসর্গ নেই দেশের ৬০ শতাংশ মানুষের মধ্যে। আর আক্রান্ত মানুষের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে, বাকি ৮০ শতাংশের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণহীন।
আজকাল প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। প্রায় প্রতি বাড়িতেই ডায়াবেটিস পরীক্ষার ডিজিটাল কিট দেখা যায়। তবে এবার তার থেকেও সহজতর উপায় বের করেছে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা মায়ো ক্লিনিক। প্রতিষ্ঠানটি এ জন্য একটি এআই অ্যাপ তৈরি করেছে। রোগীদের রেকর্ড করা কণ্ঠ শুনে সে অ্যাপ বলে দিতে পারে, কার ডায়াবেটিস আছে, কার নেই। এমনকি ডায়াবেটিসের মাত্রা কত, সে সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে এটি। অ্যাপটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ সফল হলে ডায়াবেটিস নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ হবে।
সম্প্রতি মায়ো ক্লিনিকের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতের ২৬৭ জন রোগীকে নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড করা হয় এই স্মার্টফোন অ্যাপের সাহায্যে। এ জন্য নির্দিষ্ট একটি বাক্য দিনে ছয়বার করে রেকর্ড করা হয় দুই সপ্তাহ ধরে। এতে ১৮ হাজার ৪৬৪টি রেকর্ড জমা পড়ে। সেই রেকর্ডগুলো বিশ্লেষণ করে অ্যাপটি কণ্ঠের মালিকের টাইপ-২ ডায়াবেটিস আছে কি নেই, তা নির্ণয় করতে পারে। এ পরীক্ষায় খুব সফলভাবে ডায়াবেটিক ও নন-ডায়াবেটিক কণ্ঠ চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট, ডেইলি মেইল।