নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত খোকন চন্দ্র বর্মণের চিকিৎসার আনুষঙ্গিক কাগজপত্র চেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকসান্দার মান্টিটস্কি। আহত খোকনের চিকিৎসার বিষয়ে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা জানান রুশ রাষ্ট্রদূত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বৈঠকের শুরুতে রুশ রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় অভিনন্দন জানান এবং কুশলাদি বিনিময় করেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুরুতর আহত খোকন চন্দ্র বর্মণের চিকিৎসার ব্যাপারে রুশ রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করে তার জটিল ও সময়সাপেক্ষ চিকিৎসার ব্যাপারে রাশিয়ার সহযোগিতা আশা করেন।
এর প্রেক্ষিতে তার চিকিৎসার আনুষঙ্গিক কাগজপত্র চান রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকসান্দার মান্টিটস্কি। তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে জানান, এ বিষয়ে তিনি রাশিয়াতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মামুনুর রশীদ ও অতুল সরকার উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট দুপুরের পর শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে একটি বিজয় মিছিল যাত্রাবাড়ী থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকে খোকন চন্দ্র বর্মণকে (২৩) গুলি করে পুলিশ। তার নাক-মুখ উড়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকার কিছুক্ষণ পর কয়েকজন উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নেন।
বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন খোকন। ১৭ আগস্ট ১৩ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সেই বোর্ডের পরামর্শে তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পেশায় প্রাইভেটকারচালক খোকনের বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজো। পরিবারের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ভুইঘর সোনালী মার্কেট এলাকায় থাকেন। বাবা কৃষ্ণচন্দ্র বর্মণ একটি হাসপাতালে খাবার সরবরাহের কাজ করেন। মা রানী দাস হলেন গৃহিণী।