নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দেশে করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। ইতোমধ্যে দেশে করোনার নতুন উপধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাই করোনা ভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়ায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেছেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়ালেও এনিয়ে এতো আশঙ্কার কিছু নেই। আর কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে দেশে চলমান ভ্যাকসিনই কার্যকরী বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন উপস্থিত ছিলেন।
করোনার নতুন ধরনের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহাপরিচালক বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়ায়। কিন্তু এতে প্রাণহানির শঙ্কা কম। এই ভ্যারিয়েন্টের এগেনেস্টে আমাদের যে ভ্যাকসিন আছে, সেটা কার্যকরি এবং এটা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।
নিউমোনিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের তিনি বলেন, এই সিজনে অন্যান্য বছরের তুলনায় অবশ্যই নিউমোনিয়ার প্রকোপ অনেক বেশি। বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডগুলো রোগীতে ভর্তি হয়ে গেছে।
মহাপরিচালক বলেন, আমাদের বাতাসে যে পরিমাণ ধুলা-বালি, ময়লা আছে তা খুব একটা সুখকর নয়। আমরা মাস্ক পরতে বলছি। সাধারণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বলছি। আমরা ফ্রন্ট লাইনে যেমন ডাক্তার আছেন, তাদেরকে আমরা বলছি আমাদের টিকা আছে, আপনারা টিকা নিয়ে নেবেন।
উল্লেখ্য, দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। আর করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই মাসের ১৮ তারিখ। তিন বছর পর গত মে মাসে করোনার কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু হঠাৎ করেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ চার দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। একইসঙ্গে পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে, টিকার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।