নিজস্ব প্রতিবেদক।।
গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। বুধবার করোনায় কারো মৃত্যু না হলেও আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। আর শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশে। এর আগের দিন মঙ্গলবার ছিল ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং সোমবার ছিল ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্ত এবং সংক্রমণের হার ছিল নিম্নমুখী।
আর হঠাৎ করেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।
বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ পরিস্থিতি, নতুন ধরন জেএন.১ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং এই ধরনটি বেড়েছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে এবং নতুন এই ধরন এখনো চিহ্নিত হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটি মাস্ক পরাসহ কোভিড প্রতিরোধে অন্যান্য জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটা সহায়ক হবে।
এছাড়াও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা, দেশে নজরদারি জোরদার, ভবিষ্যতে সংক্রমণ বাড়লে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সব প্রস্তুতি গ্রহণ এবং বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪৬ জন। আর এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের। আর এ পর্যন্ত মোট হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯৪৩ জন সুস্থ হয়েছেন ।