২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সম্প্রতি দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আহত ছাত্র ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহনের দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীনদের কাছ থেকে বিল না নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ব্যাপারে খোঁজখবর করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একটি কমিটি করেছে। কমিটির সদস্যরা তাদের কর্মপন্থা ঠিক করতে আজ রোববার বৈঠক করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনে আহত হয়ে যে সব ছাত্র-জনতা সরকারি হাসপাতালে আছেন তাদের চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে।
আর বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিংসা বিল গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।এবং প্রয়োজনে এসব বেসরকারি হাসপতালে চিকিংসাধীন ছাত্র-জনতার সকল বিল সরকার বহন করবে মর্মে জানানো হয়েছে।
জুলাই থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা আন্দোলন পরবর্তীতে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। ১৫ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের দমাতে লাঠি, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সেই থেকে গত ৫ অগাস্টে সরকার পতন এবং পরবর্তী সহিংসতায় কত মানুষ আহত হয়েছে তার সঠিক হিসাব সরকারের কাছে নেই। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহতদের অনেকেই এখনও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, আন্দোলন করতে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার লক্ষ্যে বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এতে আহতদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনে আহত হয়ে যে সব ছাত্র-জনতা সরকারি হাসপাতালে আছেন তাদের চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে।
আর বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিংসা বিল গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।এবং প্রয়োজনে এসব বেসরকারি হাসপতালে চিকিংসাধীন ছাত্র-জনতার সকল বিল সরকার বহন করবে মর্মে জানানো হয়েছে।
জুলাই থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা আন্দোলন পরবর্তীতে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। ১৫ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের দমাতে লাঠি, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সেই থেকে গত ৫ অগাস্টে সরকার পতন এবং পরবর্তী সহিংসতায় কত মানুষ আহত হয়েছে তার সঠিক হিসাব সরকারের কাছে নেই। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহতদের অনেকেই এখনও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, আন্দোলন করতে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার লক্ষ্যে বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এতে আহতদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আসাদুজ্জামানের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আহত চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এগুলো হলো-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট তৈরি করে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে।আহত ছাত্র-জনতা বিভিন্ন ধরনের ইনজুরিতে ভুগছেন এবং তাদের এমন অনেকে রয়েছেন। তাদের অস্ত্রোপচার পরবর্তী সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। এই সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটগুলোতে কেবলমাত্র বিশেষায়িত কনসালটেন্ট বা চিকিৎসক, নার্সরা এবং রোগীর বৈধ প্রতিনিধি ব্যতীত অন্য কাউকে প্রবেশ না করানো যাবে না।এসব বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটগুলোতে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন।
বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটগুলোতে রোগীর স্বজন বা বৈধ প্রতিনিধি পরিচালকের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকবেন। এটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি বলে উল্লেখ করা হয় ।
এগুলো হলো-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট তৈরি করে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে।আহত ছাত্র-জনতা বিভিন্ন ধরনের ইনজুরিতে ভুগছেন এবং তাদের এমন অনেকে রয়েছেন। তাদের অস্ত্রোপচার পরবর্তী সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। এই সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটগুলোতে কেবলমাত্র বিশেষায়িত কনসালটেন্ট বা চিকিৎসক, নার্সরা এবং রোগীর বৈধ প্রতিনিধি ব্যতীত অন্য কাউকে প্রবেশ না করানো যাবে না।এসব বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটগুলোতে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন।
বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটগুলোতে রোগীর স্বজন বা বৈধ প্রতিনিধি পরিচালকের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকবেন। এটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি বলে উল্লেখ করা হয় ।