নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের পারদ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাপপ্রবাহে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের অসহনীয় তীব্রতা। দুপুর ১২টার দিক থেকে মাথার ওপর খাড়াখাড়ি যে তাপ দিচ্ছে সূর্য তাতে পথঘাট সব আগুনের মতো গরম হয়ে উঠছে। পায়ের তলা থেকে যেন জ্বলন্ত আগুনের তাপ বের হচ্ছে। গরমের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগবালাই। অসহনীয় এ গরমের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে। আর হিট অ্যালার্ট জারির দ্বিতীয় দিনে অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে বা হিটস্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা সাতদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের কালো গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়েছে। রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ও দেশে এটি এ মৌসুমে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আগামী অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমে যেসব অসুস্থতা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, ঠাণ্ডা, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোক। তীব্র গরমের কারণে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ও দেশে এটি এ মৌসুমে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আগামী অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমে যেসব অসুস্থতা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, ঠাণ্ডা, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোক। তীব্র গরমের কারণে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।চলতি এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৭ ও ৮ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ১৫ এপ্রিল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এই তীব্র তাপপ্রবাহের এলাকা ধীরে ধীরে বেড়ে যায়। এই তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদফতর তিন দিনের জন্য (১৯ থেকে ২১ এপ্রিল) তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করে। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, আগামী দুই থেকে তিন দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম।
শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে আগামী ৭২ ঘন্টায় দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়াও বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
চুয়াডাঙ্গায় অতিরিক্ত গরমে এক কৃষকের মৃত্যু:
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, সূর্যের প্রখরতায় সাধারণ মানুষ হাঁসফাস করছে। আর এ গরমে মাঠে পাটের বীজ লাগানোর সময় অতিরিক্ত গরমে জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে দামুড়হুদার ঠাকুরপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ও ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন।
দামুড়হুদা কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুনর রশিদ জানায়, শনিবার সকালে জাকির হোসেন নিজের জমিতে পাটের বীজ লাগাতে যায়। এ সময় অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় মাঠের অন্য কৃষকরা উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই মারা যায়। তার মরদেহ পওে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। গ্রামের কবর স্থানে দাফন সম্পর্ণ হবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, টানা চারদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। শনিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ১৮ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভবনা নেই। প্রতিদিন জেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিনের রেকর্ড পরের দিন ভেঙে যাচ্ছে। সূর্যের প্রখরতার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
গত কয়েকদিনের দিনের তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলা জুড়ে শুনশান নিরবতা নেমে এসেছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। সড়ক দিয়ে উঞ্চতা উঠছে। শরীরের আলগা থাকা অংশ পুড়ে যাচ্ছে সূয়ের তাপে।
চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ বাজারাপাড়ার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এত গরম পড়ছে বলে বুঝানো যাবেনা। শরীর জ্বলে যাচ্ছে সূর্যের প্রখরতার কারণে। বারবার পানি পান করলেও পিপাসা মিটছেনা। কয়েক দিনের গরম অসহনীয়।
চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের ডাব বিক্রেতা হারুন বলেন, ডাব ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারণ গরমের কারণে গাছিরা ডাব পাড়তে গাছে কম উঠছে। ডাবের সরবরাহ কম হওয়ায় গরমে চাহিদা অনেক বেশি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান মুন্সি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সকর্ত স্বাস্থ্যবার্তা দিয়েছে। তাপপ্রবাহে সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। নয় তো অসুস্থ্য হয়ে পড়তে পারে যে কোন বয়সের মানুষ। হাসপাতালে গরমের কারণে ডায়রিয়াম, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সের মানুষ। হাসপাতালের বহিরবিভাগে প্রতিদিন রোগি বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ হিটস্টোক এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পাবনায় ব্যবসায়ির মৃত্যু:
পাবনা প্রতিনিধি জানান, তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোক করে পাবনা সদর পৌর এলাকা শালগাড়িয়া মহল্লার কমল পানীয় পরিবেশক বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সুকুমার চন্দ্র দাস (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত সুকুমারে পিতার নাম স্বর্গীয় পূর্ণ চর্দ্র দাস।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরের দিকে শহরের রুপকথা সড়কের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাশে চায়ের দোকানে চা পান কালে অত্যাধিক গড়মে হিটস্ট্রোক করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেখে মৃত্যু ঘোষনা করেন। পারিবারিক সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাতিজা তাপস চন্দ্র দাস।
তবে হিটস্ট্রোক জনিত মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এটি হিটস্ট্রোক জনিত মৃত্যুকিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখে বলতে হবে।
এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা পাবনা জেলা। অসনীয় গরমে অতিষ্ঠ জেলার জনজীবন। একদিকে তীব্র দাবদাহ অপরদিকে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গাজীপুরে এক ব্যক্তির মৃত্যু:
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান,গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে হিট স্ট্রোকে মানুষিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে । শনিবার বিকেলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে ।
নিহত সোহেল রানা (৪১) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এনায়েতপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাক ছেলে ।
পুলিশ জানায়, সকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে জিএমপি কোনাবাড়ি থানা পুলিশ কাশিমপুর কারাগার রুটে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায় সোহেল রানাকে । পরে পুলিশ সোহেল রানাকে রিকসারযোগে তার বাড়ি এনায়েতপুর পাঠিয়ে দেয় । কিছুক্ষণ পরেই তাকে আবার কাশিমপুর কারাগার রুটে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় । দুপুরে তার মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীদের মাধ্যমে খবর পায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আশরাফ উদ্দিন জানান , প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে হিট স্ট্রোকে মারা গেছে । এবিষয়ে পরবর্তী আনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, বিপর্যস্ত জনজীবন
যশোর প্রতিনিধি জানান,যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩টার পরে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সহসাই তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মেলার আভাস নেই। বৃহস্পতিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। কিন্তু শনিবার গত কয়েকদিনের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা দাঁড়ায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
গত কয়েকদিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। শহরে লোকজনের উপস্থিতি কম হলেও শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ, আবার কেউ কিছু সময় পর পর হাতে মুখে পানি দিয়ে নিজেকে শীতল রাখার চেষ্টা করছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। খুব প্রয়োজন না হলে রোদে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাপপ্রবাহে ঘরের বাইরে আসা সাধারণ মানুষ পড়ছেন বিপাকে। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা।
রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন হাসমত আলী। তিনি বলেন, তীব্র গরমের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ভাড়া না মারলে তো সংসার চলবে না।
এদিকে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ২৫ রোগী। যার মধ্যে ১১ জন শিশু। লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. আব্দুস সামাদ।
এছাড়াও ময়মনসিংহ ,খুলনা , চট্টগ্রাম , বরিশাল , কুষ্টিয়া, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রোদ-গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। সকাল থেকেই এই জেলাটিতে আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। নেই কোনো বাতাস। গরমের তীব্রতায় মানুষসহ পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। ঘরে বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই। সবখানেই শুধু গরম আর গরম। একটু শীতল ছোয়া পানির শান্তি পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে মানুষ। যার প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপরও। এতে করে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, পেটেরপীড়াসহ নানা রোগের ঝুঁকি ।