মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এমবিবিএস কিংবা বিডিএস ডিগ্রিধারী না হয়েও ডাক্তার পদবি ব্যবহার যাচ্ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রদীপ বসু। অভিযোগ উঠেছে, ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) ডিগ্রি নিয়ে নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে তিনি চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আর এ অপরাধে তাকে জেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
গত বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের পাশে গ্রীন লাইফ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান উল হক এ জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসান উল হক বলেন, রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেওয়া এবং ভুয়া ডিগ্রি প্রদর্শন করা গুরুতর অপরাধ। তাই বিএমডিসি আইন অনুযায়ী প্রদীপ বসুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাকে সতর্কও করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রদীপ বসু নিজেকে নানা বিদেশি চমকপ্রদ ডিগ্রিধারী ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের জিজ্ঞাসাবাদে প্রদীপ বসু জানান, তার ডিএমএফ ডিগ্রি রয়েছে ও বিএমডিসির ‘ডি ক্যাটাগরী’ রেজিস্ট্রেশন নিয়েই রোগী দেখছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, তার নেই স্বীকৃত এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি।
তিনি দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট দায়ের করেছেন ও সেই রিট বিচারাধীন অবস্থায় চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া তার অধিকার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রদীপ বসুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেও উঠেছিল। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে থেকে পার পেয়ে যান তিনি।