নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে প্যাথলোজিস্টদের সম্পর্কিত বিষয়ের ‘ট্রেনিং অফ প্যাথলোজিস্ট অন সারভাইক্যাল ক্যান্সার এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার রিলেটেড প্যাথলোজি’ উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে প্যাথলোজি বিভাগের বিগত দিনের কর্মকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি ইয়ার বুক-২০২৩ এর মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল সাড়ে নয়টায় বেসিক সাইন্স ভবনে প্যাথলোজি বিভাগ আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৭জন প্যাথলজিষ্ট ৭ দিন এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আমরা কেউ অফিসার হতে পারতাম না। ডাক্তার হতে হলেও আমাদের অনেক কষ্ট করতে হতো। বঙ্গবন্ধুর স্বীকৃতির আগে আমরা চিকিৎসকরা ছিলাম দ্বিতীয় শ্রেণি। বঙ্গবন্ধুই আমাদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। তিনি ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল এই আমাদের কর্মস্থল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
উপাচার্য বলেন, প্যাথলোজির সঠিক রিপোর্টে যেমন রোগী সুস্থ হয়, তেমনি প্যাথলোজির ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী চিকিৎসায় রোগী মারা যায়। তাই প্যাথলোজির সঠিক রিপোর্ট দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। সারভাইক্যাল ও ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য প্যাথলোজিস্টদের ভূমিকা অপরিসীম। সারভাইক্যাল ও ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সার সেলফ এ্যাসেসমেন্টে খুব দ্রুত ধরা যায়। এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিতে হতে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য নারীদেরকে বিনামূল্য ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি চালু করেছেন। এতে করে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি।
ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলোজি বিভাগ খুব ভাল কাজ করছে। এদেশে আরও অনেক প্যাথলোজিস্ট দরকার। এ ধরনের প্যাথলোজিস্ট তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। জেলা লেভেলের হাসপাতালে একটি প্যাথলোজিস্ট কনসালট্যান্ট পদ রয়েছে। উপজেলায় প্যাথলোজিস্ট কনসালট্যান্ট পদ রাখা উচিত। জেলা লেভেলে ১১টি কনসালট্যান্ট পদ আছে। সেখানে অবশ্যই প্যাথলোজিস্ট পদটি নিশ্চিত করার দিকে নজর দিতে হবে। কারণ প্যাথলোজিস্ট ছাড়া সুচিকিৎসা সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শবনম আক্তার।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলোজি বিভাগের সকল স্তরের শিক্ষক, কনসালটেন্ট, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টগণ উপস্থিত ছিলেন।