নিজস্ব প্রতিবেদক।।
প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪(খসড়া) নিয়ে পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদন ও প্রস্তাবিত সমাধানে উন্মুক্ত মতামত গ্রহণসহ চার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের নবপ্রতিষ্ঠিত সংগঠন ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশনস্ অব বাংলাদেশ (ইউমব)।
রোববার (৬ অক্টোবর) সংগঠনটির মুখপাত্র ডা. মোবারক হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল অঙ্গনে বিদ্যমান চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠনগুলোকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কল্যাণে এক সাথে ঐক্যবদ্ধ করার মহান লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইউমব। স্বাস্থ্য সেবা দাতা এবং গ্রহীতা তথা সকলের স্বাস্থ্য সেবা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সংগঠনটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন ২০২৪ (খসড়া) ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে, তাতে বেশ কিছু অসম্পূর্ণতা , অস্পষ্টতা, অসঙ্গতি বিদ্যমান, তাই একটি গ্রহণযোগ্য ও ন্যায়সঙ্গত আইন প্রণয়নের জন্য সচেতন নাগরিক হিসেবে এই আইনের পর্যালোচনা করার পাশাপাশি সমাধানও প্রস্তাব করা প্রয়োজন। তাছাড়া দেশব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিয়োজিত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছেন, যার অন্যতম কারণ অরক্ষিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, উপযুক্ত আইনের অভাব, এমনকি প্রচলিত আইনেরও সুষ্ঠু প্রয়োগ না হওয়া।
এতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নবদিগন্ত সূচনার জন্য নবীন প্রবীণ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা প্রয়োজন, রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। সার্বিক প্রেক্ষাপট সামনে রেখে ইউমব চারটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে—
১. স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন ২০২৪ (খসড়া) নিয়ে পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদন ও প্রস্তাবিত সমাধান— চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও জনতার পক্ষ থেকে উন্মুক্ত মতামত গ্রহণ কর্মসূচি, এই কর্মসূচি আগামী ৭২ ঘন্টা চলবে। ৬ অক্টোবর রাত ৮ থেকে ৯ অক্টোবর রাত ৮ টা পর্যন্ত।
২. স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা স্বাস্থ্য পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে একটি প্রাথমিক রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং সর্বশেষ প্রস্তুতকৃত রূপরেখাটি বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
৩. জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কমিটি গঠন— দেশের সকল শ্রেণী পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে সর্বজনীন ও যুগোপযোগী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হবে।
৪. সকল মেডিকেল ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দকে আহ্বান করা হলো, আপনারা নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে ছাত্র সংসদ গঠন করুন, ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ নিজস্ব কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে ফোরাম বা সোসাইটি গঠন করে সুসংগঠিত হোন, রেসিডেন্ট এবং ট্রেইনিবৃন্দ নিজ নিজ ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে নিজেরা ফোরাম বা সোসাইটি বা এসোসিয়েশন গঠন করে সুসংগঠিত হোন।
স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহযোগিতা করা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। উপরোক্ত চারটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।