নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে “আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২৪” উপলক্ষে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও সচেতনতা র্যালি আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ্। র্যালি এবং বৈজ্ঞানিক সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালটির পরিচালক প্রফেসর ডা. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত যুগ্ম সচিব অতুল সরকার। অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয় থ্যালাসেমিয়া রোগী, তাদের অভিভাবক এবং বৈজ্ঞানিক সেমিনারে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য ডাক্তারদের অংশগ্রহণে।
থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ্ বলেন, “যেহেতু থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ তাই আমাদের সার্বিক জনসচেতনতা তৈরির কোন বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক অংশগ্রহণ অপরিহার্য, কারণ আমাদের গ্রামীণ পর্যায়েও থ্যালাসেমিয়ার বাহক চিহ্নিত করণে কাজ করতে হবে এই রোগের কবল থেকে একটি পরিবার এবং দেশকে সুরক্ষা দিতে হলে।”
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ যার চিকিৎসা ব্যায়বহুল এবং জীবনব্যাপী। আমরা শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং শিশু হাসপাতাল থ্যালাসেমিয় সেন্টার সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি গরীব, অসহায় এবং দুঃস্থ রুগীদের সর্বনিম্ন খরচে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে। এই সকল রোগীদের আমরা আমাদের থ্যালাসেমিয়া সেন্টার থেকে আয়রন চিলেশন ওষুধ সহ অন্যান্য আরও ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করে যাচ্ছি। আমার আহ্বান থাকবে সমাজের উচ্চ স্তরের মানুষদের প্রতি যাতে করে তাদের সার্বিক সহায়তায় আমরা এগিয়ে নিতে পারি আমাদের সেবার মান।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু রক্ত রোগ ও ক্যান্সার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো. বেলায়েত হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. মোঃ সেলিমুজ্জামান, শিশু হাসপাতাল থ্যালাসেমিয়া সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ডা. ওয়াকের আহমেদ খান এবং প্রফেসর ডা. আফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের শিশু রক্ত রোগ ও ক্যান্সার বিভাগ এবং শিশু হাসপাতাল থ্যালাসেমিয়া সেন্টারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।