শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।
খতনা করতে গিয়ে শরীয়তপুরের পালং উপজেলায় এক শিশুর লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, পালং উপজেলায় গত শনিবার খতনা করানোর সময় আট বছরের এক শিশুর পুরুষাঙ্গের একাংশ কেটে ফেলেন স্থানীয় এক হাজাম (যিনি খতনা করেন)। ঘটনার পর তিনি ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে পালিয়ে যান। পরে শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল হক বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়েছে। একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, যেন শিশুটি স্বাভাবিকভাবে মূত্রত্যাগ করতে পারে।
তিনি বলেন, কেটে ফেলা অংশটুকু ছয় ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনতে পারলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সংযুক্ত করার চেষ্টা চালানো যেত। এখন শিশুটির লিঙ্গে প্লাস্টিক সার্জারির উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেটাও কতটা সফল হবে, তা বলা যাচ্ছে না।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে দশ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিনকে সুন্নতে খতনা করতে নিয়ে আসেন বাবা ফখরুল আলম। আহনাফকে সুন্নতে খৎনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এরপর ওইদিন রাতে শিশুটির মৃত হয়। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আহনাফের আর জ্ঞান ফেরেনি।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।