নিজস্ব প্রতিবেদক।।
লিভারের রোগীদের স্বল্প খরচে উন্নতমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে রাজধানীর রাজধানীর কলাবাগানে মবিন খান লিভার সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়েছে। কলাবাগানে (১৫১, লে সার্কাস) মবিন খান লিভার সেন্টারের এই যাত্রা শুরু হয়।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটি পরিচালিত সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মবিন খান লিভার সেন্টারটি সম্পূর্ণ অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সমাজসেবামুলক প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ বাহার হোসাইন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির ডা. মবিন খান বলেন, আজ আমরা এই সেন্টার উদোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে লিভার সেবার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান তৈরীর কাজের একটি বড় ধাপ অতিক্রম করলাম। বাংলাদেশ ছাড়া লিভার চিকিৎসায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাদের জন্য যা একটি আশার প্রদীপ।
তিনি আরও বলেন, আমি লিভার রোগীদের সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে গর্ববোধ করছি। আমি আশা করি এই কেন্দ্রটি সমস্ত লিভার রোগীদের জন্য আশার আলো এবং নিরাময়ের উৎস হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির সেক্রেটারি ডা. শাহীনুর আলম বলেন, পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে যদি আমরা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে পারি ,রোগীদের সেভাবে সেবা দিতে পারি ।চিকিৎসক হিসেবে সেটাই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। তরুন চিকিৎসকদের কাজের উৎসাহ দিতে হবে। তাহলেই দেশের চিকিৎসাখাত এগিয়ে যাবে। চিকিৎসক হিসেবে জ্ঞান অর্জন করা মানে মানুষের সেবা করা । ডা. মুবিন সেটাই করেছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. শেখ বাহার হোসেন বলেন, বাংলাদেশর সমগ্র মৃত্যেুর নবম স্থানে লিভার ডিজিজ। প্রত্যেকটা রোগের সাথে লিভার এর সম্পর্ক রয়েছে, যদিও আমাদের দেশের লিভার রোগের চিকিৎসা উন্নত বিশে্বর মান নয়, তবে মবিন খান লিভার সেন্টার আজকে যে শুভ সূচনা করল তার বদৌলতে আমরা একদিন উন্নত বিশ্বের মত লিভার চিকিৎসায় আমাদের দেশে হবে বলে আমি আশা করি।
ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ডা.মুহাম্মদ আলী বলেন, পৃথিবীর সকল সহৎ কর্মগুলো ছোট ছোট পরিসরেই শুরু হয়। এবং ধীরে ধীরে তা একটি বৃহৎ ও মহৎ কর্ম হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে। ঠিক তেমনি মবিন খান লিভাব সেন্টার আজকে এই বিজয় দিবসে যেমন তাদের কার্যক্রম শুরু করল তা একদিন বাংলাদেশের তথা সারা বিশ্বে বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে পড়বে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত)। শুক্রবার (সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত)। শনিবার এবং রোববার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত রোগী দেখা হবে এ সেন্টারে। সোমবার বন্ধ থাকবে।