নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন পড়েছে এক লাখ চার হাজার ৪৪টি। আর মোট আসন রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০টি। সে হিসাবে আসনপ্রতি প্রায় ১৯ জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। তবে যেহেতু টাকা জমা দেওয়ার সময় এখনও বাকি আছে, তাই হয়তো আর কিছু বাড়তে পারে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার জন্য এক লাখ চার হাজার ৪৪টি আবেদন পড়েছে। যেহেতু টাকা জমা দেওয়ার এখনও সময় বাকি আছে, তাই হয়তো আরও অল্প কিছু বাড়তে পারে।’
গতবারের চেয়ে এবার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে এক হাজার ৩০টি আসন বাড়ানো হলেও গত বছরের তুলনায় এ বছর আবেদন কিছু কম পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, ‘আবেদন কম পড়েছে এটা বলা যাবে না। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মোট আসনসংখ্যা অনুযায়ী যথেষ্ঠ আবেদন পড়েছে। যাদের চান্স পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই তারা হয়তো আবেদন করেনি।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ সেশনে মোট আসন রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০টি। সে হিসাবে প্রায় ১৯ জন আসনপ্রতি লড়বে। আর বেসরকারি মেডিকেলে আসন রয়েছে ছয় হাজার ১৬৮টি। সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৫৪৮টি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে লিপ্ত হবেন শিক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে আসনপ্রতি প্রায় নয়জন পরীক্ষায় বসবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন শুরু হয়, যা গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শেষ হয়। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১২ পর্যন্ত।
প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। আর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায়। শেষ হবে বেলা ১১টায়। লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
গত বছর এক লাখ ৩৯ হাজার ২৭২ জন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। সরকারি মেডিকেলের প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিল ৩২ জন, আর সরকারি-বেসরকারি মিলে প্রতি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দী ছিল ১৬ জন।