দেশে এমপি-মন্ত্রীরা চিকিৎসা নিলে সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

by glmmostofa@gmail.com
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশেও ভাল এবং উন্নত মানের চিকিৎসাসেবা  থাকা সত্ত্বেও মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যাচ্ছে  উল্লেখ করে মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো বিদেশ যাচ্ছেন না। তিনি তার চোখ তো বাংলাদেশেই পরীক্ষা করিয়েছেন। এভাবে যদি আমাদের সংসদ সদস্য (এমপি) এবং মন্ত্রীরা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাহলে দেশের চিকিৎসা সেবার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে রোগীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি তো জোর করে কাউকে বিদেশ পাঠাচ্ছি না। কেউ যদি তার বাবা বা স্ত্রীকে নিজের পয়সায় বিদেশমুখী করে তাহলে সেখানে তো আমার করার কিছুই নেই। আমার দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে নিয়ে আসা। মানুষ যেন আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা করাতে ভরসা পায়। তারা যেন মনে করে এ দেশেও চিকিৎসা আছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে তো বিদেশ থেকেও রোগী আসছে।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আমরা কাজ করে আসছি। রোগী এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা দিতেই এ আইনটি করা হচ্ছে। শুধু চিকিৎসকদের সুরক্ষা নয় বরং রোগীরাও যেন সঠিক সেবা পায় এবং চিকিৎসায় অবহেলা না হয়; এসব নিয়েই এ আইন করা হচ্ছে। এটা এখনো পর্যালোচনা পর্যায়ে আছে।  আমি মনে করি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটা নিয়ে কয়েকটি মিটিংও আমি করেছি। আমি চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব এটাকে পার্লামেন্টে নিয়ে যেতে। সে বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ডেঙ্গুর মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় কীভাবে করা হচ্ছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেউ চাই না, ডেঙ্গুতে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হোক। যদি হয় উপরওয়ালার ইচ্ছায়, আমরা সামলাতে পারবো বলে আশা করি। এজন্য আমরা কয়েকটা মিটিং করেছি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং দুই মেয়রের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ভবিষ্যতেও আমরা মিটিং করবো। দুটি মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে কাজটি করতে হবে। স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব চিকিৎসক কিন্তু জানেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কী করতে হবে। আমাদের একটা গাইডলাইন আছে, সেটি সম্পর্কেও তারা অবগত। পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুত আছে। আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, আমাদের ইডিসিএলকে নিয়ে আমরা মিটিং করেছি, যাতে কোনোভাবেই যেন স্যালাইনের ঘাটতি না হয়।এসময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

You may also like

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

গ্রেটার ঢাকা পাবলিকেশন নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স ৪৪/১, রহিম স্কয়ার

নিউমার্কেট, ঢাকা ১২০৫

যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@pran24.com