ডায়াবেটিসের নকল ওষুধ  বাজারে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

by glmmostofa@gmail.com

নিউজ ডেস্ক।। 

সারাবিশ্ব জুড়েই বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। আর ডায়াবেটিসের টাইপ-টু চিকিৎসায় ব্যবহৃত নভো নরডিস্ক কোম্পানির ওজেম্পিক ওষুধের ব্যাপারে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে এই ওষুধের নকল ব্যাচ ছড়িয়ে পড়েছে। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি স্থূলতার চিকিৎসায়ও এই ওষুধ ব্যবহার হয় বিভিন্ন দেশে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে এই সতর্কতার কথা জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং একই বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এই ওষুধের নকল পণ্য শনাক্ত করা হয়। ডব্লিউএইচও’র গ্লোবাল সারভিলিয়েন্স অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম (জিএসএমএস) ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে নকল ওজেম্পিকের ছড়াছড়ি সংক্রান্ত রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছে।

মূলত ওজেম্পিকে ব্যবহৃত উপাদান সেমাগ্লুটাইড টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া হৃৎপিন্ডের পেশিগুলোর ক্ষতি করতে পারে এমন কোনো ঘটনার ঝুঁকিও কমায় এই উপাদান।

রক্তে শর্করা কমানোর পাশাপাশি ক্ষুধা দমনও করতে পারে এই সেমাগ্লুটাইড। ফলে অনেক দেশেই ওজন কমানোর জন্য ওজেম্পিক ব্যবহৃত হয়। বেশিরভাগ সেমাগ্লুটাইড ত্বকের নিচে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ইনজেক্ট করতে হয়। তবে মুখে খাওয়ার ট্যাবলেটও পাওয়া যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নকল ওষুধের কারণে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এতে যদি প্রয়োজনীয় কাঁচামাল না থাকে, তাহলে রক্তে অনিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজ এবং ওজনের ফলে স্বাস্থ্যগত জটিলতা তৈরি হবে। এ ছাড়া ইনজেকশন ডিভাইসে ইনসুলিনের মতো উপাদান থাকার কারণে অকল্পনীয় স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

সংস্থাটি আরও বলছে, অতিরিক্ত দামের কারণে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ডব্লিউএইচও প্রস্তাবিত ওষুধের তালিকায় সেমাগ্লুটাইড নেই। বিপরীতে সেমাগ্লুটাইডের মতোই কার্যকর অথচ সাশ্রয়ী মূল্যে ডায়াবেটিসের আরও চিকিৎসা পাওয়া যায়।

এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে নকল ওষুধ ক্রয় এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ কিনতে বলা হয়েছে। একই সাথে অপরিচিত, যাচাই করা হয়নি এমন উৎস অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ কেনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওষুধ কেনার সময় প্যাকেজিং এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ দেখে নিতে হবে। ব্যবহার করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সেমাগ্লুটাইড ইনজেকশনের ক্ষেত্রে সেগুলো রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।

ডব্লিউএইচও’র সহকারী মহাপরিচালক ড. ইউকিকো নাকাতানি বলছেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তা, নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং জনসাধারণের প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হচ্ছে এসব নকল ওষুধের ব্যাপারে  সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সন্দেহজনক ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করতে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে সকল সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করা হলো।

You may also like

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

গ্রেটার ঢাকা পাবলিকেশন নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স ৪৪/১, রহিম স্কয়ার

নিউমার্কেট, ঢাকা ১২০৫

যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@pran24.com