নিজস্ব প্রতিবেদক।।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবিকা বহুমাত্রিক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই এ সমস্যা মোকাবিলায় সহযোগী অংশীদারদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সুইডেন, ইউএসএইড, ইউনিসেফ ও এফসিডিওর প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আহবান জানান।
সাক্ষাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনগণের জীবনমান উন্নয়নে স্বাস্থ্য খাতে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ও জনস্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি ঘটাতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সুইডেন, ইউএসএইড, ইউনিসেফ ও এফসিডিও নিবিড়ভাবে কাজ করছে। মাতৃস্বাস্থ্য, টিকাদান, শিশু স্বাস্থ্য, নবজাতকের পরিচর্যা, কমিউনিটি হেলথসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতিতে এ সহযোগিতা ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রাইডসম্যানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সহযোগী অংশীদাররা নার্সদের এবং স্বাস্থ্যসেবার বিশেষ দিকেগুলো নিয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। আর দক্ষ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মী জনগণের স্বাস্থ্যের মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এন্টিবায়োটিক ও তার যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি ঔষধ কেনাবেচার সাথে সংশ্লিষ্টদের উপর কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
এই সৌজন্য সাক্ষাতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রাইডসম্যান, ইউএসএইড বাংলাদেশ মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান, ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।