নিউজ ডেস্ক।।
দশ বছরের মানভি। ঘটা করে জন্মদিন পালন করার জন্য অনলাইন থেকে পছন্দের একটি চকলেট কেক অর্ডার করেছিলেন কিন্তু সেই কেকই তার জীবনের শেষ খাওয়া হলো। কেক কাটতে সন্ধায় পরিবারের সবাই মিলে ধুমধাম আয়োজন করা হয় । কিন্তু কেক কেটে খাওয়ার পর পরই সেই আনন্দ মুহূর্তে গ্রাস করে শোকের ছায়া।
মানভির পরিবারের দাবি, জন্মদিনের ওই কেক খাওয়ার পরেই অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যায় শিশুটি। এমনকি পরিবারের বাকি সদস্য যারা ওই কেক খেয়েছে তারাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনা ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের পাতিয়ালা শহরে। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ ঘটনা ঘটে। আর মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কেক কেটে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মানবীর জন্মদিন উদ্যাপনের হাস্যোজ্জ্বল একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে।
মানভীর দাদা হারবান লাল বলেন, গত রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কেক কাটে মানবী। এরপর চলে খাওয়াদাওয়া। কিন্তু রাত ১০টার দিকে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুই বোন বমি করতে থাকে। প্রচণ্ড তৃষ্ণায় মুখ শুকিয়ে আসছিল মানবীর। সে বারবার পানি খাচ্ছিল। এরপর সে ঘুমিয়ে পড়ে।
মানভীর দাদা আরও বলেন, মানবীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে পরদিন ভোরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয় ও ইসিজি পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। কিছুক্ষণ পরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পরিবারটির অভিযোগ, ‘কেক কানহা’ বেকারি থেকে অর্ডার করা কেকটিতে বিষাক্ত উপাদান ছিল।
এই ঘটনায় বেকারি মালিকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, ‘শিশুটির সুরতহাল করা হয়েছে। কেকের কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানভির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ২৭৩ এবং ৩০৪এ ধারায় মামলা রজু করা হয় বলে জানা গেছে।