বগুড়া প্রতিনিধি।।
নিজ সন্তানকে শাসন করা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে অভিমানে ঘুমের ওষুধ সেবন করেন রুমানা শারমিন রুম্পা (৪২) নামে এক চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাত ১১টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। তিনি বগুড়ার ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) পদে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী সাজেদুল ইসলাম সুজনও একজন চিকিৎসক। তিনি বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক।
তিনি শহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাউয়ুমের মেয়ে ও তিনি স্বামী ও এক সন্তানসহ বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় বসবাস করতেন।
মৃতের মা রওশন আরা বলেন, মূলত নাতনির লেখাপড়া নিয়ে মাঝেমধ্যেই মেয়ে ও জামাতার মধ্যে কলহ হতো। একজন শাসন করলে আরেকজন বিষয়টি মেনে নিতে পারত না। বুধবার রাতেও একই ঘটনা ঘটে। এ সময় রুম্পা তার মেয়েকে শাসন করলে জামাতা মন খারাপ করে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে রুম্পা
একসঙ্গে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রোমানাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার সকালে লাশ বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে শুক্রবার বাদ এশা জানাজা শেষে লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়। আজ শনিবার সকালে বৃন্দাবনপাড়া ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, রোমানা প্রাণচঞ্চল একজন ব্যক্তি ও চিকিৎসক ছিলেন। তার ব্যক্তি জীবনে কোন সমস্যা ছিল বলে কখনও আমরা বুঝতে পারিনি ।