নিজস্ব প্রতিবেদক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসক তৈরিতে মানের দিক থেকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসক ও শিক্ষক তৈরির কারখানা। তাই আমাদের সবসময় ভালো শিক্ষক তৈরির জন্য কাজ করতে হবে। কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে আমরা কোনো আপস করবো না।
রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৭ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক আছে। এরমধ্যে বিদেশি ১০০ রেসিডেন্ট আছে। তাদের ডিগ্রিটা যেন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া হয়। আমরা তাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো না। চিকিৎসক তৈরিতে কোয়ালিটির ব্যাপারে কোনো আপস করা যাবে না।
ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখানকার দায়িত্ব চেয়ে নেইনি। আমার উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসার পাশাপাশি আমার প্রতি ওনার কিছু চাওয়াও আছে। আমি চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিএসএমএমইউর ইন্টারভ্যাশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর প্রধানতম একটি কারণ হৃদরোগ, যা দিনদিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের ব্যাপকমাত্রায় সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে আমরা হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারি, এরপরও যদি কারও হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়, দ্রুততম সময়ে তাকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।
মোস্তফা জামান বলেন, আমাদের দেশে হৃদরোগের চিকিৎসা এখনও বলা যায় রাজধানীকেন্দ্রিক। আমরা চাচ্ছি প্রান্তিক পর্যায়ে হৃদরোগের চিকিৎসা পৌঁছে দিতে। আমরা চাইবো হৃদরোগের চিকিৎসা যেন বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়, সারা দেশ থেকে রোগীদের যেন ঢাকায় আসতে না হয়।
তিনি আরো বলেন, দেশে ১০০ জন ব্যক্তির যদি হার্ট অ্যাটাক হয়, তাদের মধ্যে মাত্র ৬ জন রোগী চিকিৎসার আওতায় আসছে। এর অন্যতম বড় কারণ রোগীরা সময়মতো হাসপাতালে আসতে পারছে না। আবার অনেকেই হার্ট অ্যাটাকের ব্যাথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা মনে করে। এজন্য আমরা চাচ্ছি প্রান্তিক পর্যায়ে যেন অন্তত একটা ইসিজি করে রোগী বুঝতে পারে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কী না। আর ডাক্তার যারা রয়েছেন, তারাও যেন তাদের অফিস টাইমের বাইরেও রোগীর প্রয়োজনে হাসপাতালে ছুটে এসে রোগীর জীবন রক্ষা করতে কাজ করেন এটাই প্রত্যাশা করি ।