কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।
প্রতিষ্ঠার ১ যুগ পেরিয়ে গেলেও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে চালু হয়নি হাসপাতাল। আর এ হাসপাতাল চালু করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন কুষ্টিয়া মেডিকেলের শিক্ষার্থী।
বুধবার (১০ জুলাই) মেডিকেল ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা মেডিকেলটির হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক, হাসপাতাল পরিচালক, অধ্যক্ষের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল চালু করার দাবি জানান।
মানববন্ধন শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘কুষ্টিয়া ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হয়। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ না করেই অস্থায়ীভাবে কুষ্টিয়া ম্যাটস ভবন ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালকে কেন্দ্র করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করা হয়। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই হাজারো অনিয়ম ও দূর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার পরও কলেজ ও হাসপাতাল হস্তান্তরে নানান গড়িমসি দেখা যায়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী হাসপাতাল উদ্বোধনের পরও পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’
শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘মেডিকেলের ৩য় বর্ষ থেকে ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস করার জন্য প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরের সদর হাসপাতালে যেতে হয়। পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা, সদর হাসপাতালের হযবরল অবস্থা, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাবে শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা স্বত্ত্বে বিষয়গুলোর সমাধান হয়নি।’
মেডিকেলটির ২০১৯-২০ সেশনের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আগামী ১ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’
২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী খালিদ হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষার্থীর যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত হাসাপাতালের স্বাস্থ্যসেবা চালু করুক।’
মেডিকেলের আরেক শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার ১ যুগ পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে এই অঞ্চলের রোগী এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমরা এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।