নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে । শুক্রবার করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। যা ২০২২ সালের পর সবোর্চ্চ সংক্রমণের হার। ওই বছরের জুন-জুলাই মাসে ১১ শতাংশের ওপরে উঠেছিল। তবে এরপর দীর্ঘদিন ধরেই দেশে করোনা শনাক্তের হার এক শতাংশের আশ-পাশেই ছিল। একইসঙ্গে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্তের হারও ছিল নিম্নমুখী। কিন্তু হঠাৎ করেই সারা বিশ্বে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এর সংক্রমের হার বেড়েই যাওয়ায় উচ্চ ঝুঁকিস্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসাকেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরকে সর্তক হিসেবে মাস ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সর্তক বার্তা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সার্জারি অথবা অন্য কোন রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র কোভিড-১৯ এর লক্ষণ/ উপসর্গ থাকলে কোভিড ১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের করোনার চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের জানায়, শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন। এই নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৮ জনের। আর দেশে সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪২ জন। আর এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৪ হাজার ২৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫৪টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২২টি। আর দেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। আর করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই মাসের ১৮ তারিখ। তিন বছর পর গত মে মাসে করোনার কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু হঠাৎ করেই হঠাৎ করেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।