নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন প্রথম অফিস করবেন রোববার (১৪ জানুয়ারি)।
রোববার সকাল ১০ টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে যোগদান শেষে প্রথম অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তিনি। এরপর বেলা ১২ টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এর আগে ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি নতুন সরকারের একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএমএ ও স্বাচিপ নেতৃবৃন্দ, স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ।
শুক্রবার রাতে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা বিভাগের দুই সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান, যুগ্মসচিব (প্রশাসন) আঞ্জুমান আরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে স্নেহ করতেন জানতাম, কিন্তু এতটা স্নেহ করতেন তা জানতাম না। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। যে আস্থা রেখে তিনি আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বিভিন্ন হাসপাতালে সরাসরি গিয়ে পরিদর্শন করার কথা বলেছেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে তার (প্রধানমন্ত্রী) কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণের কথা বলেছেন। আমার এক জীবনে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।’
উল্লেখ্য, চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি ডা. সামন্ত লাল সেনকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। এছাড়াও বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।