নিজস্ব প্রতিবেদক।।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশে এখন সিজারের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনা কারণেই অনেক মায়েরা বাচ্চা প্রসবে সিজারে আগ্রহী থাকেন। এটি কাম্য নয়।
বর্তমানে দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক ৯-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ওই মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে। এটি এভাবে চলতে পারে না। দেশে হোম ডেলিভারি এবং সিজার করে বাচ্চা নেওয়া অর্ধেকের বেশি কমাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, এখনও দেশে ৬৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৪ হাজার মা বছরে মাতৃত্বকালীন মারা যায়। এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা অন্তত ৫ ভাগ মা ও শিশু মৃত্যু হার কমাতে সক্ষম হয়েছি। তবে মা ও শিশু মৃত্যু হার বিগত বিএনপি-জামাত সরকারের তুলনায় এখন অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবুও এখনো বছরে এত মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। এখন আমাদের আগামীর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে ও শিশু মৃত্যুহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে, মায়েদের হোম ডেলিভারির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র সমূহকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে আমরা ইতোমধ্যেই ৫০০টি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে ৪০০০টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই ২৪ ঘণ্টা সেবা চালু করা হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক শিক্ষা প্রফেসর টিটু মিয়া প্রমূখ ।